নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচটি গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু অতিরিক্ত সময়েও কোন গোল না হওয়ায় খেলা গড়ায় ট্রাইবেকারে। ট্রাইবেকারে ৫-৪ ব্যবধানে অলিম্পিকে প্রথম সোনা জয় করলো ব্রাজিল।একদিকে গত বিশ্বকাপে লজ্জাজনক হারের বদলা অন্যদিকে প্রথমবারের মত অলিম্পিকে সোনা জয়ের স্বাদ। সব মিলিয়ে এই ফাইনাল যেন ব্রাজিলের কাছেসোনার হরিণ। অবশেষে সেই সোনার হরিণের দেখা পেল নেইমাররা।প্রথমার্ধে নেইমারের দুর্ধর্ষ গোলে এগিয়ে ছিল ব্রাজিল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ৫৭ মিনিটেরমাথায় মাক্স মেয়ারের গোলে সমতায় ফেরে জার্মানি। প্রর্থমার্ধের ২৭ মিনিটের মাথায় দুর্দান্ত একটা ফ্রি-কিকে গোল করেন নেইমার।জার্মানির শেষ শর্টটা ডান দিকে ঝাঁপিয়ে দারুণ ভাবে রক্ষা করেন ব্রাজিলের গোলরক্ষক। এবার ব্রাজিলের শেষ শর্টটা নিতে আসেন দলের অধিনায়ক নেইমার। গোল করলেই অলিম্পিক ইতিহাসের অধরা সোনা জয় করবে ব্রাজিল। দলীয় অধিনায়ক কি আর সেই সুযোগ মিস করে।জার্মান গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে তার জরালো শর্টটি যখন গোল লাইন অতিক্রম করে জালে জড়ালো তখন উল্লাসে কেঁপে উঠলো কানায় কানায় পূর্ণ মারকানা স্টেডিয়াম। আনন্দে তখন দিশাহীন হয়ে দৌঁড়াচ্ছেন ব্রাজিল অধিনায়ক। চোখে তার আনন্দ-অশ্রু। মারকানার ৭০ হাজার দর্শক যেন এক ইতিহাসের সাক্ষী। অধরা সেই সোনা জয়, নিজেদের মাঠে, নিজের সেই চিরচেনাহলুদ শিবির আর পরিচিত মারকানা! আর কেনই বা হবে না, অধরা স্বপ্ন পূরণ হলো ব্রাজিলের! রোনালদো, রিভালদো, রোমারিও, বেবেতো যে গৌরবের অংশ হতে পারেননি তার অংশ হলেন নেইমার আর তার বাহিনী।৫ টি তারা আজ এক সোনালী সুতোয় বাধা পড়লো। অভিনন্দন নেইমার, অভিনন্দন ব্রাজিল।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
0 comments:
Post a Comment