ময়মনসিংহ -১১ (ভালুকা) অাসনে অাগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অাওয়ামী লীগ , বি এন পি ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত অনন্ত ১৮ নেতা মনোনয়প্রত্যাশী। তবে মাঠে নির্বাচনের হাওয়া লেগেছে উভয় দলের নেতা কর্মী মনোনয়প্রত্যাশীদের মধ্যে , ১৮ মনোনয়নপ্রত্যাশীর ক্ষমতাসীন অাওয়ামী লীগের ই অাছে এক ডজন খানিকের উপর নেতা নানা ভাবে নির্বাচনী প্রচারণায় তৎপরতা চালাচ্ছে । বি এন পি সমর্থিত থেকে মাঠে সক্রিয় অাছেন চার নেতা তবে অন্যান্য দলের তেমন বিস্তার না থাকলেও জাতীয় পার্টি পূর্ব মনোনয়ননপ্রত্যাশী সমর্থিত রয়েছে দুই জন নেতা তবে তারা নির্বাচনে মাঠে সক্রিয় হয়ে ওঠতে পারেনি। তবে ক্ষমতাসীন দলীয় প্রতীকে মনোনয়প্রত্যাশীদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় অাওয়ামী লীগের দ্বন্দ্বও বেশি সে দিক থেকে বি এন পি অনেক টা নির্ভার। এখানকার বর্তমান এনপি অাওয়ামী লীগের, নির্বাচনের এলাকাও অাওয়ামী লীগের ঘাটি হিসাবে পরিচিত। অাগামী নির্বাচনে অাওয়ামী লীগের লক্ষ্য ঘাটি রক্ষা করা। তবে অাওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্বের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বি এন পি চায় অাসনটি অায়ত্বে নিতে চায়। এসব বিবেচনায় নিয়েই দুই দলের নেতারা রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদানের নামে মূলত নির্বাচনী প্রচারণাই বেশি ।ভালুকা ময়মনসিংহ বিভাগের একটি গুরুত্বপূর্ণ অাসন। গত চার বারই সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছে অাওয়ামী লীগ। ৫ম বারের মতো এখানে জিততে মরিয়া চায় দলটি। অন্যদিকে বি এন পি চায় ভোটের লড়াইয়ে জিতে অাসনটি পুনরুদ্ধার করতে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ভালুকার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬২ হাজার ৫৫৭ জন।
সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গ্রামাঞ্চলে চা-স্টলে সাধারণ মানুষের মাঝে বড় দুইটি দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদর নিয়ে চলছে অালোচনা পর্যালোচনা । বিগত দিনে এলাকার উন্নয়নে কোন নেতার কতটা ভুমিকা রেখেছে বেশি, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে কার কতটা যোগাযোগ এবং কে কতটা যোগ্য , এসব বিষয় নিয়েই অালোচনা বেশি চলছে।
অাওয়ামী লীগের বর্তমান এনপি ও উপজেলা অাওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ডা.এম অামানউল্লাহ। অাগামী
নির্বাচনেও তিনি অাওয়ামী লীগের সম্ভাব্য শক্তিশালী প্রার্থী। এ ছাড়া মাঠে সক্রিয় অাছেন ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বর্তমান উপজেলা অাওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অালহাজ্ব গোলাম মোস্তফা, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজিম উদ্দিন ধনু , বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. কে বি এম হদিুজ্জামান সেলিম, কানাডা অাওয়ামী লীগের অাহ্বায়ক ড. শফিউল অাজম, শিল্পপতি ও পাপুয়া নিউগিনি অাওয়ামী লীগের সভাপতি অালহাজ্ব এম এ ওয়াহেদ, ময়মনসিংহ জেলা যুবলীগের যুগ্ম অাহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম পিন্টু , জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা মনিরা সুলতানা মনি , কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সহ-সভাপতি অাশরাফুল হক জর্জ , অাওয়ামী লীগের নেতা ইজ্ঞিনিয়ার মহিউদ্দিন , কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অাসাদুজ্জামান বিপ্লব , ও অাওয়ামী নেতা হাজী রফিকুল ইসলাম ।
বি এন পি থেকে মনোয়নপ্রত্যাশীরা উপজেলা সভাপতি মো.ফখরুউদ্দিন অাহম্মেদ বাচ্চু , শিল্প ও ময়মনসিংহ ( দক্ষিণ) বি এন পির যুগ্ম সম্পদক অালহাজ্ব মোর্শেদ অালম , অ্যাডভোকেট অানোয়ার অাজিজ টুটল, জিয়া বিগ্রেডিয়ের বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. অাবুল হোসেন।
জাতীয় পার্টি থেকে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসাবে সাবেক এনপি মেজর (অব.) অাবদুল হামিদ ও জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক অাবদুল কাইয়ুম এ অাসনে মনোনয়ন চাইবেন।
১৯৯৬ সালের সপ্তম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি হাতে থাকা অাসনটি পুনরুদ্ধার করেন অাওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক ডা. এম অামানউল্লাহ। তিনি প্রায় ২৫ হাজার ভোট বেশি পেয়ে বিএনপি র এমপি অামানউল্লাহ চৌধুরী কে পরাজিত করে নির্বাচিত হন। অষ্টম সংসদ নির্বাচনে পুনরায় এমপি হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি বিএনপির প্রার্থী ড.শাহ্ মোহাম্মদ ফারুককে প্রায় ৪০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারান( বর্তমান সংসদ)
নবম সংসদ নির্বাচনেও এমপি হন (বর্তমান সংসদ) তার নিকট তম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী মো.ফখরউদ্দিন অাহম্মেদ বাচ্চু। দশম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মাঠে না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন চৌধুরি মিন্টুকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে এনপি অধ্যাপক ডা.এম অামানউল্লাহ। তবে চার বারের নির্বাচিত ( বর্তমান সংসদ ) বয়সের কারণে বিশেষ করে নেতা কর্মীদের সাথে তার যোগাযোগ তুলনামূলক কম থাকায় এ অাসনে পরিবর্তনের অাসার হাওয়া জোড়ালো ভাবে বয়ছে নেতা কর্মীদের মাঝে।
অাসনটি থেকে সাধারণ জনতার উৎকন্ঠা ও বেশি থাকছে মনোনয়ন বাচাইয়ের বাজারে কে জনতার প্রার্থী হয়ে অাগামীর
সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে অাসবে সেদিকে চোখ থাকবে বড় দুই দলের সমর্থকদের সাথে গুটা ভালুকার অাপামোড় জনতার ।
লেখক - জনি অাহম্মেদ
( কলামিস্ট / বলাগার / মুক্ত চিন্তার লেখক )
0 comments:
Post a Comment